মাদক পাচারকারী হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত অস্ট্রেলিয়ার চ্যাপেলে করবি ইন্দোনেশিয়ায় দীর্ঘ নয়বছরের কারাবাস এবং তিনবছরের প্যারোলে মুক্তি শেষে ব্রিসবেনে ফিরে গেছেন।
সাবেক এই বিউটি থেরাপিস্ট ২০০৪ সালে বালি এয়ারপোর্টে গ্রেপ্তার হন মাদক বহনের দায়ে । সেসময় তার কাছে চার কেজির বেশি মারিজুয়ানা লুকানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
পরের বছর তার বিচারের রায় দেয়া হয়। তার মামলাটিকে ঘিরে অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেয়।
তার শাস্তিকে অতিরিক্ত কঠোর হিসেবে হিসেবে উল্লেখ করে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় অস্ট্রেলীয়দের মধ্যে।
১৩ বছর আগে তিনি যখন গ্রেপ্তার হন সে তখনজাতীয় ইস্যুতে পরিণত হন।
যদিও সর্বদাই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসেন এই নারী।
২০০৭ সালে তাকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছিল তথ্য চিত্র “গাঞ্জা কুইন” বা গাজার রানী।
প্যারোলে মুক্তির পর গত তিনবছর তিনি ইন্দোনেশীয় ছেলে-বন্ধুর সাথে বসবাস করছিলেন।
অস্ট্রেলিয়া তার বিষয়ে এখনো বিভক্ত। সে আসলেই অপরাধী নাকি ষড়যন্ত্রের শিকার-সেটার উত্তর খুঁজছে তারা। তবে ইন্দোনেশিয়ায় সে রকম ব্যাপার নেই। সাবেক বিউটি থেরাপিস্টকে তারা দেখছে আর সব অপরাধীর মতই।
করবির প্রস্থানের সময় সহায়তার জন্য শত শত পুলিশ নিয়োজিত করা হয়। তার বোন মার্সিডিজ ইন্দোনেশিয়াতে বসবাস করেন।
করবিকে যখন গাড়ির দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন সাংবাদিকদের ক্যামেরা থেকে তাকে দূরে রাখার চেষ্টা করছিলেন তার বোন।
ইন্দোনেশিয়ার মাদক সংক্রান্ত আইন অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় অনেক কঠোর। ২০১৫ সালে আরও দুজন অস্ট্রেলীয় নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।